নিজস্ব প্রতিনিধি : গাজীপুরের অগ্নিশিখা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার বিপ্লব হোসেন ফারুকের উপর ভূমিদস্যুদের অতর্কিত হামলা । এমন ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর সদর থানাধীন সেটেলমেন্ট অফিসের সামনে, গত ২২/১০/২০২৩ইং (রবিবার) বিকাল ৩ টায় গাজীপুর সেটেলমেন্ট অফিস থেকে পেশাদারী কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সেটেলমেন্ট অফিস প্রাঙ্গনেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা করে ভূমি দস্যু ইদ্রিস আলী ও তার সহোদর ভাই রমজান আলী সহ অজ্ঞাত ৪ জন।
এ সময় ভূমিদস্য ইদ্রিস আলীর হাতে থাকা মোটরসাইকেলের চাবি দ্বারা এলো পাথরে আঘাত করলে সাংবাদিক বিপ্লব হোসেন ফারুকের মুখের নিচের চোয়াল এর একটি দাঁত ভেঙে যায় এবং
শারীরিকভাবে চরম লাঞ্ছিত মারধর ও তার মোবাইল ক্যামরাসহ বেশ কিছু জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়। পরবর্তীতে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। রবিবার মর্মান্তিক এই ঘটনা জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে।
এ বিষয়ে আহত বিপ্লব হোসেন ফারুকের সাথে কথা বলে তিনি জানায়, গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন এনায়েতপুর এলাকায় বসবাসরত ইদ্রিস আলী ও রমজান আলী দুই ভাই সহ কয়েকজন সহযোগী মিলে বিভিন্ন নিরীহ লোকের জমি জবরদখল দখল করা কাগজপত্রের মারপেছ দেখিয়ে একবারের জায়গায় তিনবার বিক্রয় করে অন্যায় ভাবে লাভবান হওয়া তার পেশাগত অভ্যাস, সে কাশিমপুর থানার সিএস ভুক্ত আসামি তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা সহ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি সাধারণ ডায়েরিসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার নিত্যদিনের কর্মকাণ্ড। এই সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১৮/১০/২৩ইং তারিখে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করি.। এর ওই পরিপ্রেক্ষিতে তারা দুই ভাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা তাহাকে হুমকি ও পেশাগত দায়িত্বে পালনে বাধা দিয়ে আসতেছে।
গত ২২/১০/২০২৩ তারিখে বিকালে ৩ টা ২০ মিনিটে আমি গাজীপুর সেটেলমেন্ট অফিস থেকে বের হওয়ার সময় তারা দুই ভাই সহ আরো চারজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ফাঁকা জায়গায় পৌঁছালে দুই ভাই সহ অজ্ঞাত চারজন সামনে এসে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে অতর্কিত হামলা করে এবং অভিযোগে উল্লিখিত ২নং আসামী ইদ্রিস আলী তার হাতের থাকা মোটরসাইকেলের চাবি দ্বারা মুখে আঘাত করলে তার মুখের নিচের পাটির একটি দাঁত ভেঙে যায়। এ সময় তারা আমার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেন, মানি ব্যাগ এবং ধারন কৃত ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত ক্যামেরা ও মোবাইল ভেঙে ফেলে।
এ ঘটনায় জিএমপির সদর থানায় ভুক্তভোগী বিপ্লব হোসেন ফারুক নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।