1. admin@dainikmuktoalo.com : admin :
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সোনারগাঁয়ে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জ গণসমাবেশে ভিপি নূর, বললেন সোনারগাঁয়ে দলের ফেস্টুন ছেঁড়ার কথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা না থাকায় মাদকে সয়লাব,সোনারগাঁয়ে গণঅধিকার পরিষদের সোনারগাঁও আসনের ট্রাক মার্কার প্রার্থী হবেন ওয়াহিদুর রহমান মিল্কী সোনারগাঁয়ে ভুয়া দলিলের মাধ্যমে কবরস্থানের জমি বিক্রির প্রতিবাদে গ্রামবাসীর মানববন্ধন সোনারগাঁয়ে “গণঅধিকার পরিষদের কার্যক্রম এবং দেশ বিনির্মানে ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১ হাজার টাকার মনোনয়নপত্র ২০ হাজার টাকা বিক্রির অভিযোগ সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাপাহারে রিক”র উদ্যোগে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালন সোনারগাঁ থানার গেটে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের নামে বিভিন্ন অনিয়মে দোকান বন্ধের নির্দেশ ওসির সাপাহারে ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

পিতা ও দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ দেওয়ার কারনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বড় ছেলে রাসেল ও তার পরিবার

দৈনিক মুক্ত আলো
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৮২ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের পূবাইল থানাধীন ৪০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দ হাসানুর রহমান রাসেল, এই ওয়ার্ডেরি সাবেক কাউন্সিলর ও পূবাইল থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান শিরিষের বড় ছেলে এই রাসেল। যৌবন কাল থেকেই বাবা ও ছোট দুই ভাই গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সদস্য রাজিবুল হাসান রাজিব ও হোসাইনুর রহমান রুবেলের নানা মুখি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এখন অনেকটা আতংকে দিন কাটছে তার। বাবা আজিজুর রহমানের ঘৃণ যৌন লালসার শিকার হয়ে হারিয়েছে প্রথম সংসারে স্ত্রী। শুধু তাই নয় পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগ দখলের জন্য ছোট দুই ভাইয়ের পরিকল্পনায় একাধিকবার তাকে মাদকাসক্ত সাজিয়ে রিহ্যাব (মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র) পাঠানো হয় তাকে। সেখানেও ইনজেকশন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রাসেল। এসব বিষয় গত ১২ই সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, জেলা প্রশাসক ও  গাজীপুর পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রাসেল। সেই সময় বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এর আগে আজিজুর রহমান শিরিষ,তার দুই ছেলে ও পূবাইল থানাধীন ৪০নং ওয়ার্ড কুদাব এলাকার বাসিন্দা মৃত রমিজ উদ্দিন দেওয়ানের মেয়ে ছাবিনা ইয়াসমিন (৩৮) কে আসামি করে গত সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী রাসেল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাহিনুর আক্তার আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার ১২৯২/২০২৩ ও ১২৯৭/২০২৩। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, জেলা প্রশাসক ও গাজীপুর পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ পুবাইল এলাকায় জমি দখলসহ নানা অপকর্ম করে আসছিলেন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান শিরিষ ও তার দুই ছেলে। এসব বিষয় জানতে পেরে বড় ছেলে রাসেল তাদের বাধা দিলে তার উপর শুরু হয় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন। বাবা আজিজুর রহনান শিরিষের নির্দেশে একাধিক বার জোরপূর্বক মাদকসেবী বানিয়ে রিহ্যাবে ভর্তি করায় ছোট ভাই রাজিব ও রুবেল। পরে বিভিন্ন  ইনজেকশন দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। নানা অপবাদ দিয়ে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চলানো হচ্ছে। রাসেলের দাবী তার বাবা আজিজুর রহমান শিরিষের লালসার শিকার হয়ে সংসার ছেড়েছিলেন তার প্রথম স্ত্রী। এছাড়া তার দুই ছোট ভাই প্রতিনিয়ত তাকে মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে এলাকা ছাড়া করার ঘৃন্য চেষ্টায় লিপ্ত আছে। বর্তমানে তিনি স্ত্রী সন্তানসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এবিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনার এর দারস্থ হয়েছেন তিনি।এসব বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর আজিজুর রাহমান শিরিষ নিজের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে শনিবার সকালে তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম রানি দুই ছেলে রাজিবুল হাসান রাজিব, হোসাইনুর রহমান রুবেল কে সাথে নিয়ে রাজিবুল হাসান রাজিবের বাসভবনে কয়েকজন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধি দের নিয়ে মতবিনিময় করেন তিনি। আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, আমার তিন ছেলে এক মেয়ে। আমার বড় ছেলে হাসানুর রহমান রাসেল পূর্ব থেকে একটু অন্যরকম ছিল বহু শাসন করেও তাকে আমি নিজ হাতে আনতে পারি নাই সে সব সময় খারাপ মানুষের সাথে সঙ্গ দিত মাদক সেবনসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকতো শত চেষ্টা করেও  আমি পিতা হয়ে সুপথে আনতে পারি নাই ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার মধ্যে তার ডিস ব্যবসায়ী দোকান ঘরের মালিক আতাউর রহমান শামীম ধীরাশ্রমের হারুন ও ইউছুব আলী নামক ব্যক্তিদের মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। তার বিরুদ্ধে গাজীপুর সদর থানায় ১৬৭/২-১৮ মামলা হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে আমার পরিবার ও দুই ছেলে রাজিবুল হাসান রাজীব স্কুল শিক্ষক হুসাইনুর রহমান রুবেল মাস্টারসহ আমার পরিবারের লোকজনকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। ১৫ বছর পূর্বে আমিও আমার পরিবারের লোকজনদের সাথে পরামর্শ করে তাকে রিহ্যাবে পাঠাই সেখান থেকে এসে আবার খারাপ জগতের সাথে মিশে যায়। সে মানসিক ভারসাম্য ও বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।মতবিনিময় সভায় নিজের বড় ছেলে ভুক্তভোগী ভুক্তভোগী হাসানুর রহমান রাসেল কে নিয়ে করা আজিজুর রহমান শিরিষের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ভুক্তভোগী হাসানুর  রহমান রাসেল বলেন, আমার পিতা আজিজুর রহমান শিরিষ, শনিবার আমার সম্পর্কে যা বলেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য। তিনি আমার বিরুদ্ধে যে মামলা ও মারামারি কথা বলেছে সেই মারামারি মামলার নেপথ্যে কারণ ছিলেন আজিজুর রহমান শিরিষ নিজেই। তার অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যেই সেই সময় আমায় ভুলবুঝিয়ে এই দাঙ্গা হামলা ঘটনা ঘটায়। তিনি বলেছেন আমি মাদক সেবী খারাপ কর্ম করে বেড়াতাম তাই আমায় রিহ্যাবে পাঠিয়েছে। আসল ঘটনা হলো তিনি আমায় রিহ্যাবে পাঠিয়ে আমার প্রথম স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল। তাদের পরকীয়া প্রেমে যেন কোন বিঘ্ন না ঘটে ও আমায় যেন পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ না দিতে হয় সেই কারনেই আমার ছোট দুই ভাইয়ের সহযোগীতায় আমায় রিহ্যাবে পাঠায় । এটাই ছিল প্রধান কারণ।তিনি আরও বলেন ১১ই সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের ও ১২ই সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী সহ সকল সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দেওয়ার পর অভিযুক্তরা আমাকে গুম খুন,অস্ত্র মাদক দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ নানা বিধি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। বর্তমানে আমি ও আমার স্ত্রী সন্তানরা  নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সকল স্তরের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমিও আমার পরিবারের সকল সদস্যদের নিরাপত্তা কামনা করছি।

Facebook Comments Box
সংবাদটি শেয়ার করুন :

Please Share This Post in Your Social Media

এ ক্যাটাগরির আরও সংবাদ