ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৩০আগষ্ট) রাত্রি ১০-১৫ মি: দিকে জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ্ হিল কাফি ও আহমাদুল্লাহ্ নামের তার এক সাথী দু’জনে উপজেলার আশড়ন্দবাজার এলাকা হতে দলীয় প্রোগ্রাম শেষে মোটর সাইকেল যোগে সাপাহারে ফিরছিলেন। রাস্তায় তারা সাপাহার সদরের অদুরে সাপাহার-জবই বিল সড়কের সৈয়দপুর ব্রীজ এলাকায় পৌঁছালে একদল ছিনতাইকারী রাস্তায় রশি দিয়ে তাদের পথ রোধ করে এবং দু’জনকে মোটরসাইকেল হতে নামিয়ে পাশের আমবাগানে নিয়ে তাদের মাথায় আঘাত করে এবং তাদের নিকট থেকে টাকাপয়সা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মোটরসাইকেল টি নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় তাদের আত্মচিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। এসময় ছিনতাইকারীর লাঠির আঘাতে চালক আহমাদুল্লাহর মাথায় হেলমেট থাকায় তিনি বেঁচে গেলেও জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহহিল কাফির মাথা ফেটে যায়। লোকজন তড়িঘড়ি করে রাতেই তাকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে এলে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাহালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীনাবস্থায় শনিবার দুপুর ২,৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। মৃত জামায়াত নেতা সাপাহার উপজেলার কাওয়াভাষা গ্রামের মাও: আব্দুর রহিমের ছেলে তিনি দির্ঘদিন ধরে সাপাহার উপজেলা সদরে অবস্থিত আলহেলাল ইসলামী একাডেমী এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে ওই বিদ্যালয় প্রধান জানিয়েছেন। এবিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ দেবনাথ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, এবিষয়ে সাপাহার থানায় একটি খুন সহ ছিনতাইয়ের মামলা রুজু হয়েছে।