আব্দুল করিমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সোনারগাঁও পৌরসভার ভট্টপুর বটতলায় সোনারগাঁও পৌর নাগরিক সমাজের আয়োজনে “গণঅধিকার পরিষদ এর কার্যক্রম এবং দেশ বিনির্মানে ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোঃ ওয়াহিদুর রহমান মিল্কী। সোনারগাঁও পৌর নাগরিক সমাজের উলফত কবির মাস্টার এর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ ওয়াহিদুর রহমান মিল্কী বলেন, “গণঅধিকার পরিষদ এবং ভিপি নুরুল হক নূর এর রাজনীতির শুরুটাই হয়েছে দেশবাসীর অধিকার আদায়ের লড়াইকে সামনে রেখে। আজকের ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তি রচিত হয় ২০১৮ সালে। তখনকার ছাত্র ও যুবসমাজ সম্মিলিতভাবে নুরুল হক নূর ও রাশেদদের নেতৃত্বে ছাত্র অধিকার আন্দোলন করে রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরে স্বাধীনতা পরবর্তী দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলে কোটা সংস্কারের জন্য। সারা বাংলাদেশের মানুষ সেই থেকে নিজের অধিকার আদায়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করার সাহসীকতার রসদ পায় যার ফলশ্রুতিতে ২০২৪ এর জুলাই আগস্টের গণআন্দোলনে দেশের সকল বয়স ধর্ম শ্রেনী পেশার মানুষ একত্রিত হয়ে একনায়ক স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা নিয়ে আসে, এর মাধ্যমে বাংলাদেশীরা পরিপূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে।”
সভার সঞ্চালক উলফত কবির মাস্টার বলেন, “হাজারো বছরের ঐতিহ্যেবাহী সাবেক বাংলার রাজধানী সোনারগাঁ এর ঐশ্বর্য ফিরিয়ে আনতে, এর রাস্তাঘাট এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করতে সোনারগাঁয়ের বিগতদিনের কেউই তেমন কাজ করে নি, ফেক্টরী কল কারখানা হয়েছে কৃষি আর পতিত জমিতে ঠিকই কিন্তু পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জেলা উপজেলার তুলনায় ঐতিহ্যমন্ডীত সোনারগাঁবাসীর জীবনমানের প্রত্যাশিত উন্নয়ন ঘটে নি। যারাই সোনারগাঁয়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি কিংবা কোন সরকার বা দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রয়েছেন তারা যেন সোনারগাঁয়ের ঐতিহ্যকে ধারণ করে এর হারানো ঐশ্বর্য ফিরিয়ে নিয়ে আসেন সে দাবি জানাই।”
আলোচনা সভায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষথেকে উপস্থিত ছিলেন; মোঃ গিফারী, জুনায়েদ জাহাঙ্গীর, মকবুল গাজী, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ হাবিব সহো আরো অনেকে।