নিজস্ব প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মামরকপুর এলাকায় পিয়ারা বেগম(৩৮) নামে এক গৃহবধূর কাছে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার চিহ্নিত মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী মাসুদ, তার ভাই মামুন(৩৫) সহ ১২ জনের সন্ত্রাসীদলের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় , উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের মামরকপুর গ্রামে নতুন ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলো মনির হোসেন ও পিয়ারা বেগমের পরিবার। বাড়িঘর নির্মাণের শুরু থেকেই একই গ্রামের মৃত আঃ দাইয়ানের দুই ছেলে মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী মাসুদ, মামুন এবং অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদল বিভিন্ন সময়ে গৃহবধু পিয়ারা বেগমের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিলো এবং রাতের অন্ধকারে অসৎ উদ্দেশ্যে বাড়ির আশেপাশে ঘুরাফেরা করিতো। নিষেধ করিলে গৃহবধূ পিয়ারা বেগম ও পরিবারের সবাইকে প্রাণ নাশের হুমকি দিতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ জুলাই আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী মাসুদ ও তার ভাই মামুনসহ তাদের সঙ্গীয় সন্ত্রাসীদল দেশীয় অস্ত্র রানদা, লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে আতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যার উদ্যেশ্যে গৃহবধু ও তার সন্তানদের পিটিয়ে মারাত্মক জখম কর। এসময় সন্ত্রাসীদল গৃহবধূ পিয়ারা বেগমের কাছে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করিলে গৃহবধূ ও তার পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার বলেন, অভিযুক্ত মাসুদ এলাকার চিহ্নিত মাদকাসক্ত ও মাদকদ্রব্য বিক্রেতা। তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে গত ১ বছর রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে এসে আবারো রাতের অন্ধকারে মাদক বিক্রি শুরু করে। তার সেল্টারে এলাকায় মাদকের বড়ো সিন্ডিকেট কাজ করে। গৃহবধূ পিয়ারা বেগমের কাছে মাদকাসক্ত ও মাদকদ্রব্য বিক্রেতা মাসুদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা চাঁদা দাবি করে আসছিল। ঘটনার দিন মাসুদকে ডেকে পাঠাই এবং মাসুদকে ধরলে সে আচমকা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে নাটক শুরু করে। পরবর্তীতে তার সাঙ্গপাঙ্গরা তাকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যায়। আমি তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করেছি মাত্র। সে আমার ইউনিয়নে বসবাস করে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে মাদক সিন্ডিকেটদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করি।
সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ নেয়া হয়েছে, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।