আব্দুল করিম: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সোনারগাঁ জি আর ইন্সটিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অপসারণ দাবিতে তার কক্ষে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
গত ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের অফিসে না পেয়ে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ৩০ মিনিট সময় বেধে দেয়।
অধ্যক্ষ মোঃ সুলতান মিয়া অফিসে না আসলে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে তার কক্ষে তালা দেওয়ার আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা । অধ্যক্ষ নির্দিষ্ট সময়ে না আসায় তাঁর কক্ষে শিক্ষার্থীরা তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং তিনি পদত্যাগ না করা পর্যযন্ত আন্দোলনের ঘোষনা দেয় শিক্ষার্থীরা।
অধ্যক্ষর অনিয়ম, অপকর্ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। অধ্যক্ষের অপসারণ ও অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার ( ৫ নভেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থীরা সোনারগাঁও থানা রোডের উদ্ধবগঞ্জ বটতলা মোড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাবস্থায় অধ্যক্ষ সুলতান মিয়া উপজেলার সামনে এসে ছাত্রদের মিছিল দেখতে পেয়ে দৌড়ে মেরিখালী নদীতে ঝাপদিয়ে সাতরে নদী পাড় হয়ে পালিয়ে যায়।
কলেজ শাখার শিক্ষার্থীরা জানান, অধ্যক্ষ সুলতান মিয়ার অধ্যক্ষ হওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার পরও তিনি কিভাবে নিয়োগ পান। নিয়োগ পেয়ে নানা অনিয়ম, অপকর্ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে শুধু শিক্ষার্থীই নয়, অভিভাবকরাও অতিষ্ঠ।
অধ্যক্ষর অনিয়ম, অপকর্ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে অধ্যক্ষের অপসারণ ও অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তারা আরো বলেন অধ্যক্ষের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলবে।
উল্লেখ্য, অতিরিক্তি বেতন আদায়, অভিভাবকদের সাথে অসৎ আচরন, নানা অনিয়ম ও লুটপাট, প্রতিবন্ধীদের ভর্তি না নেওয়া, অতিরিক্ত উন্নয়ন ফি, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত, ১৮ লাখ টাকার পৌরকর পরিশোধ না করা তার খারাপ আচরণে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলেও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, অভিযোগ এনে প্রাক্তন শিক্ষার্থী বলেন একদফা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানান।
উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা স্মারকলিপি পেয়ে নারায়ণগঞ্জ ডিসি অফিসে প্রেরণ করেছি।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহফুজকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।